মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় আম গাছ গুলোতে শোভা পাচ্ছে কেবলই আমের মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। চলতি বছরে শীত ও গণ কুয়াশা থাকায় দেরিতে হলেও মুকুলে ছেয়ে যাচ্ছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ।
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় গাছে গাছে ফুটতে শুরু করেছে আমের মুকুল
পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতার পংক্তিগুলো বাস্তব রূপ পেতে বাকি রয়েছে আর মাত্র কয়েক মাস। সেই সুখের ঘ্রাণ বইতে শুরু করেছে। গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ।
বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ-মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে। পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে আমের মুকুল। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। শীত ও ঘন কুয়াশা একটু দেরিতে হলেও এ বছর আমের বাম্পার ফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
বিশেষজ্ঞদের মতে মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকলে পুষ্পমঞ্জরিতে পাউডারি মিলডিউ ও অ্যানত্রাকনোজ রোগের আক্রমণ হতে পারে। এতে গাছের পাতা, কচি ডগা, মুকুল ও কচি আমে কালো দাগ পড়ে। আম গাছে মুকুল আসার সময় হপার পোকা কচি অংশের রস চুষে খায়। ফলে মুকুল শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে ঝরে পড়ে। এছাড়া রস চোষার সময় পোকা আঠালো পদার্থ নিঃসৃত করে। এতে ফুলে পরাগরেণু আটকে পরাগায়নে বিঘ্ন ঘটে।

প্রতিকার হচ্ছে- মুকুল আসার ১০ দিনের মধ্যে একবার প্রতি লিটার পানির সঙ্গে ১ মিলিলিটার রিপকর্ড বা সিমবুস ১০ ইসি এবং ০.৫ মিলিলিটার টিল্ট ২৫০ ইসি একসাথে মিশিয়ে আমের মুকুল, পাতা, কাণ্ডে স্প্রে করতে হবে। ফলের রানী আমের ফলন ভালো হওয়ায় সম্ভবনা রয়েছে, তবে ভালো ফলন নির্ভর করে আবহাওয়া উপর।
আরও দেখুনঃ