মুন্সিগঞ্জে ছয় গ্রামের মানুষের জীবিকার অবলম্বন কাজলি নদী রক্ষার দাবি,মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় উপজেলার হোসেন্দী ও টেংগারচর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত কাজলি নদী রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। আজ সোমবার সকালে হোসেন্দী এলাকায় নদী তীরে এ মানববন্ধন করেন স্থানীয় লোকজন।মানববন্ধনে উপজেলার হোসেন্দী, টেংগারচর, নিবিড়চর, পয়স্ত হোসেন্দী খাড়াকান্দি ও বড় ভাটেরচর গ্রাম থেকে সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মুন্সিগঞ্জে ছয় গ্রামের মানুষের জীবিকার অবলম্বন কাজলি নদী রক্ষার দাবি
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হোসেন্দী, টেংগারচর, নিবিড়চর, পয়স্ত হোসেন্দী, খাড়াকান্দি ও বড় ভাটেরচর গ্রামগুলো কাজলি নদীর জন্য মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। গ্রামগুলোর মানুষের জীবন-জীবিকা ও যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। তবে সম্প্রতি নদীর কিছু অংশ দখল হয়ে গেছে। নদীটি দিন দিন সরু হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া পলি জমে নাব্যতা হারিয়েছে। শুকনো মৌসুমে নৌযানগুলো ঠিকমতো চলাচল করতে পারছে না। তাই নদীটিকে বাঁচাতে রাখতে দখলমুক্ত করে এবং খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তাঁরা।
পয়স্ত হোসেন্দী গ্রামের বাসিন্দা সোহাগ প্রধান বলেন, রাতের আঁধারে ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলে নদীর বেশ কিছু জায়গা ভরাট করে ফেলেছেন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী। তাঁদের বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়ায় কোনোভাবেই তাঁদের দমানো যাচ্ছে না। স্থানীয় ট্রলারচালক শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘নদীটির কিছু অংশ দখল হয়ে যাওয়া আর কিছু অংশে পলি জমে নাব্যতা হারিয়ে যাওয়ায় ট্রলার চলাচল প্রায় বন্ধ।
আমার মতো ২৫-৩০ জন ট্রলারচালকের এখন কোনো কাজ নেই। পণ্য পরিবহনের কাজে মানুষ আর নদীটি ব্যবহার করতে পারছে না।’টেংগারচর গ্রামের নুরুল ইসলাম (৭০) বলেন, ‘জন্মের পর থেকে এই নদী আমাদের জীবন-জীবিকার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। নদীটি মরতে বসেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ প্রশাসন নদীটি খনন, দখলমুক্ত করা জরুরি দরকার।’
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক, নদী, খাল ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সহসভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, হোসেন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: